নরসিংদীর জেল সুপার ও জেলার বরখাস্ত
বাংলাদেশ
প্রতিনিধিনরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার আব্দুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীরা নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে জেলখানায় থাকা নয় জঙ্গিসহ ৮২৬ কারাবন্দি পালিয়ে যায়। পলায়নরত আসামিরা যাতে আত্মসমর্পণ করে, সেজন্য গত রোববার রাত থেকে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ১০ জন ও মঙ্গলবার ১২৬ জনসহ মোট ১৩৬ জন পলায়নরত কারাবন্দি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর মাধ্যমে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হকের আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপার ও জেলারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ। যারা জেলখানা থেকে বেরিয়ে গেছে, তারা যেন দ্রুত আত্মসমর্পণ করে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি গ্রাম ও ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একাধিক কারারক্ষী ও এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে হামলাকারীরা মুহুর্মুহু ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে কারাগারের দুই দিকের ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় পেট্রলবোমা মারা হয়। কারাগারের ভেতরে নানা জায়গায় আগুন ধরে যায়। হামলাকারীরা কারারক্ষীদের থেকে ছিনিয়ে নেয়া চাবি দিয়ে বন্দীদের অনেকগুলো কক্ষের তালা খুলে দেন। কিছু কক্ষের তালা ভেঙে ফেলা হয়। চারপাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।
এসময় হামলাকারীরা আসামি ছিনিয়ে নেন। এরপর একে একে ৮২৬ বন্দী পালিয়ে যান। এ সময় অস্ত্রাগার ও কারারক্ষীদের থেকে ৮৫টি অস্ত্র ও ৮ হাজার ১৫০টি গুলি লুট করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, কারাগারে যারা হামলা করেন, তাদের হাতে লাঠিসোঁটা, দেশি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিলো। তাদের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন কারারক্ষীরা। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কারারক্ষীরা নিরাপদ অবস্থানে চলে যান।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি
from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/272205/নরসিংদীর-জেল-সুপার-ও-জেলার-বরখাস্ত