Type Here to Get Search Results !

বেনজীরের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

বেনজীরের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগিরই মামলা করা হবে। দুদক আইন অনুযায়ী যেগুলোকে অপরাধ ধরা হয় তার সবই করেছেন বেনজীর।

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: own-reporter

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগিরই মামলা করা হবে। দুদক আইন অনুযায়ী যেগুলোকে অপরাধ ধরা হয় তার সবই করেছেন বেনজীর।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। তবে আইজিপি এই মুহূর্তে কোথায় আছেন তা সরকার বা প্রশাসনের কেউই জানেনা।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে সংস্থাটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ফ্রিজের আদেশ দেন আদালত।

এখন পর্যন্ত বেনজীর পরিবারের নামে ঢাকায় ১২টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটের খোঁজ দুদক আগেই পেয়েছিল। নতুন করে সংস্থাটি আরও আটটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট ঢাকার আদাবরের একটি ভবনে। দুটি বাড্ডায়। বাড্ডার ফ্ল্যাট দুটি বাণিজ্যিক বা অফিস স্পেস। এ ছাড়া দুদক বেনজীর পরিবারের আরও প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমির খোঁজ পেয়েছে। সব মিলিয়ে বেনজীর পরিবারের নামে ৬৯৭ বিঘা জমি পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশ-শামস জগলুল হোসেন। পাশাপাশি আদালত বেনজীর পরিবারের প্রায় ৭৬ বিঘা (২৫ একর) জমি জব্দ এবং বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশন ও টাইগার ক্রাফট অ্যাপারেলস লিমিটেডের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

আদেশ অনুযায়ী, সাবেক এ আইজিপির সাভারের সম্পত্তি দেখভাল করবেন সেখানকার ইউএনও এবং গোপালগঞ্জের মাছের খামার দেখভাল করবেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া মাদারীপুর ও কক্সবাজারের সম্পত্তি দেখাশোনা করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। 

প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি এবং এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। এছাড়া তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএইচ

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/269857/বেনজীরের-দুর্নীতির-প্রমাণ-পাওয়া-গেছে-দুদক

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.