Type Here to Get Search Results !

রামগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

রামগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি গাড়ি ব্যবহার ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ

বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারিভাবে বরাদ্দ গাড়ি নিয়ে নিজ সন্তান চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে নিজের সন্তানের পক্ষ নিয়ে প্রভাব বিস্তার করছেন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খানকে নিয়ে বিভিন্ন সভা ও প্রচার প্রচারণায় মিথ্যাচার করছেন। যাতে রামগঞ্জের মানুষ ক্ষুব্ধ।  

চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত মিথ্যাচার করে আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আনোয়ার খান এমপি। শনিবার (১১ মে) বিকেলে বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

ইমতিয়াজ আরাফাত লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে এবং ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে রামগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে তার বাবা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী উঠান বৈঠক, গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।

নির্বাচনী আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুয়োগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না।

এদিকে, প্রধান প্রকৌশলীর স্বাক্ষর জাল করে বিনা টেন্ডারে কার্যাদেশ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন এ অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য দুদকের চাঁদপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সঞ্জয় ঘোষাল তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামগঞ্জ থানাকে দায়িত্ব দিয়েছে। যার স্মারক নম্বর ০০.০১.০০০০.৭১৮.০২৩.২২.১১৯। এছাড়াও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে।

উপজলো চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিথ্যাচার সর্ম্পকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে স্থানীয় এমপি আনোয়ার খান অভিযোগ দায়ের করে বলেন, আমার সংসদীয় আসন রামগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন চলছে। সংসদ অধিবেশন চলায় এখনও এলাকায় যাওয়া হয়নি, নির্বাচন নিয়ে কারও সাথে কোন আলোচনাও হয়নি। অথচ রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে আসছেন। বিষয়টি ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করেন এ আইনপ্রণেতা।

এসব বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও তার ছেলে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না। কেউ করে থাকলে এটি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত জানান, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/268024/রামগঞ্জে-নির্বাচনী-প্রচারণায়-সরকারি-গাড়ি-ব্যবহার-ও-প্রভাব-বিস্তারের-অভিযোগ

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.