Type Here to Get Search Results !

অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন

অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন

ঈদুল ফিতরের দিন ও পরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কথা অনেক আগেই জানিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে অনেরকেই তা না জানতে পারার কারণে চলে এসেছেন মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে। তাদের ভাষ্য, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা শহরে মেট্রোরেলে চড়ে তারা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চান। 

বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরের দিন ও পরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকার কথা অনেক আগেই জানিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে অনেরকেই তা না জানতে পারার কারণে চলে এসেছেন মেট্রোরেলের বিভিন্ন স্টেশনে। তাদের ভাষ্য, ঈদের ছুটিতে ফাঁকা শহরে মেট্রোরেলে চড়ে তারা তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চান। 

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে না। এতে খরচ বাড়বে। এছাড়া কর্মীর সংখ্যাও কম। ফলে এদিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। সব মিলিয়ে তাই ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়ায় দুদিন বন্ধ থাকছে মেট্রো।   তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের এমন কথায় হতাশ রাজধানীবাসীর অনেকে। ঈদের দিন ও পরদিন মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থী সজীব-উজ জামান শান্ত।

তিনি বলেন, ‘মেট্রো হলো গণপরিবহন। এটি শুক্রবারই বন্ধ রাখা উচিত না। আর ঈদের দিন তো অবশ্যই না। ঈদের সময় বেশিরভাগ মানুষ ঢাকার বাইরে চলে যাওয়ায় গাড়ি পাওয়া যায় না। মেট্রো থাকলে যারা ঢাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হবেন তাদের যাতায়াতে সুবিধা হতো।’

কথা হয় নিয়মিত মেট্রো ব্যবহারকারী আরেক যাত্রী আশিক রহমানের সঙ্গে। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, মেট্রোর প্রতি রাজধানীবাসীর যে আস্থা তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখা দরকার। ঈদের সময় মেট্রো বন্ধ রাখলে তো আর হবে না। ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিকরাও তো ঈদের সময় ছুটি পান না। সেইখানে মেট্রো গণপরিবহন হিসেবে সবসময় চলা উচিত। অথচ মেট্রোও কি-না ঈদের ছুটি কাটাচ্ছে।

বিভিন্ন স্টেশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর অথবা একটু দুরবর্তী এলাকার স্টেশনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজয় স্বরনীতে আসতে চাওয়া মানুষ বেশি ভিড় করছেন। এই এলাকাগুলোয় রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রের সিংহভাগ অবস্থিত। যেখানে প্রতিদিনসহ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়াও জাতীয় দিবস ও দেশের বৃহৎ উৎসব যেমন  ঈদের সময় বেশি মানুষ ঘুরতে বের হন। 

উত্তরা সেন্টার স্টেশন  থেকে ঢাবির স্টেশনে আসতে চাওয়া রোকেয়া বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। আশা করেছিলাম, মেট্রোরেলে চলে খুব দ্রুততম সময়ে ঢাবির টিএসসিতে পৌছাঁতে পারবো। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম মেট্রো বন্ধ।

কিছুটা হতাশ সুরে তিনি বলেন, ঈদের মতো উৎসবে যদি মেট্রো বন্ধ থাকে তাহলে আমরা যারা রাজধানীতে ঈদ করি তাদের চলাচলের তো কিছুটা অসুবিধা হয়।     এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল আগেই। গত ঈদেও এ সার্ভিস বন্ধ ছিল। কাজেই বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। আর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মেট্রোরেল চলাচল দুদিন বন্ধ থাকছে। এরপর শনিবার থেকে সময়সূচি মেনেই চলবে রেল।   নাজমুল ইসলাম আরও বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। রমজানের আগে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখের কাছাকাছি। তবে ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রীর সংখ্যা বাড়ে। কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ করে যাত্রী চলাচল করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

© Bangladesh Journal


from BD-JOURNAL https://www.bd-journal.com/bangladesh/266214/অনেকেই-হতাশ-হয়ে-ফিরে-যাচ্ছেন

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.